মনির খান, স্টাফ রিপোর্টারঃ
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার, কাশিপুর ইউনিয়নের পাশাপাশি দুটি গ্রাম, এড়েন্দা এবং ধোপাদাহ। এই দুই গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গিয়েছে নবগঙ্গা নদী। এড়েন্দা বাজারের পাশেই অবস্থিত কাশিপুর এ,সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ২০১০ সালের দিকে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের সুবিধার জন্য নবগঙ্গা নদীর উপরে একটি সেতু তৈরি করা হয়।
সেতুটি সুধুমাত্র মানুষের পায়ে হেঁটে যাতায়াতের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
সেতুটি নতুন থাকা কালীন প্রায় দুই বছর ধরে সকলে পায়ে হেঁটেই যাতায়াত করতো। তারপর দুই বছর পার হতেই ব্রীজ/সেতুটির উপর দিয়ে মালামাল বোঝাই করা নসিমন, ট্রাক, সহ প্রভৃতি গাড়ি চলাচল করা শুরু করে। এতে বিদ্যালয়ের ছেলে মেয়ে সহ, অন্যান্য পথচারীদের চরম ঝুঁকির মুখে পার হতে হয়।
এলাকার অনেক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরাও এই সেতু দিয়ে চলাচল করেন। তাদের সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক সেতুটি দিয়ে শুধু এক পাশের গাড়িই যাতায়াত করতে পারে। দুই পাশের গাড়ি একসঙ্গে আসলে, সেতুর মাঝ বরাবর এসে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সামনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের পরিক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। সেই সময়েও যদি এরকম দুরাবস্থা থাকে তাহলে ছাত্র ছাত্রীরা সময় মতো পরিক্ষার হলে পৌঁছাতে পারবেনা। জানা যায় কয় এক বছর পূর্বে ব্রিজের রেলিং ও গাড়ির চিপায় চাপা পড়ে মানুষ মারা যায়।
মাননীয় সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার কাছে একটাই আবেদন যত দ্রুত সম্ভব, ধোপাদাহ এড়েন্দার মাঝখানের নবগঙ্গা নদীর উপর ভারী পরিবহন চলাচলের জন্য আর একটি সেতু জরুরী এলাকাবাসীগন বলেন আমাদের ব্রিজ টি সরু ও চিপা। আমরা চওড়া একটি ব্রিজ চাই।
মাননীয় সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা মহোদয়ের কাছে এলাকার মানুষ এই দুর্যোগ দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার লক্ষ্যে একটি ব্রিজের অনুমোদন করে এলাকার মানুষকে নিরাপত্তার সাথে ভালো ও সুন্দরভাবে যাতায়াত করার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জোর দাবি জানান।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।